আমার পঠিত ব্লগ সমুহ

বৃহস্পতিবার, ৩১ মে, ২০১২

পর্ব -২ :নতুন ওয়েব ডেভলাপারদের জন্য সার্ভার ব্যবস্থাপনা


ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সার্ভার ব্যবস্থাপনার টিউটরিয়ালের দ্বিতীয় পর্বে জনপ্রিয় সার্ভার ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন সিপ্যানেল হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেলের কিছু প্রাথমিক বিষয় আলোচনা করা হয়েছিল। এ পর্বে লোকাল সার্ভারে তৈরি করা ডায়নামিক/ডাটাবেজনির্ভর ওয়েবসাইট সিপ্যানেলে আপলোড করা, এফটিপি তৈরি করা, ওয়েবমেইল তৈরি করা ইত্যাদি দেখানো হয়েছে।
বিশেষ সংযোজনঃপুর্ববর্তী পর্ব ( নতুন ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সার্ভার ব্যবস্থাপনা পর্ব – ০১) পরতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ
নতুন ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সার্ভার ব্যবস্থাপন পর্ব – ০১)
ডায়নামিক/ডাটাবেজনির্ভর ওয়েবসাইট সিপ্যানেলে আপলোড করা
আপনার ওয়েবসাইটের যদি কোনো ডাটাবেজ থাকে, তাহলে ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো সার্ভারে আপলোড করার পাশাপাশি ডাটাবেজটিকেও সার্ভারে তুলতে হবে এবং ফাইলের সাথে ডাটাবেজটিকে কানেক্ট করে দিতে হবে।
ডায়নামিক ওয়েবসাইটের জন্য প্রথমে সিপ্যানেলের Databases ট্যাবের Mysql Databases অপশনে ক্লিক করুন। তারপর নিচের ধাপগুলো সম্পন্ন করুন :
০১.
Create New Database অপশনে ডাটাবেজ নাম লিখে Create Database বাটনে ক্লিক করুন। প্রতিটি ডাটাবেজ তৈরি করার পর এর জন্য একটি ইউজার তৈরি করতে হয়।
০২.
এখন Mysql Databases পেজের নিচের দিকে স্ক্রল করুন। এখানে MySQL Users সেকশনের অধীনে Add New User অপশনে আপনার ডাটাবেজের ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে Create User বাটনে ক্লিক করলে ডাটাবেজের ইউজারনেম তৈরি হবে। এবার এটিকে ডাটাবেজের সাথে যুক্ত করে দিতে হবে।
০৩.
Mysql User সেকশনের নিচে Add to user Database অপশনে আপনার সম্প্রতি তৈরি করা ডাটাবেজ এবং ডাটাবেজের ইউজারনেম ড্রপডাউন অপশন থেকে সিলেক্ট করে Add বাটনে ক্লিক করুন। নতুন একটি পেজে User Privileges-এর একটি টেবিল আসবে। এখানে ALL PRIVILEGES চেকবক্সে ক্লিক করে Make Changes বাটনে ক্লিক করলে আপনার তৈরি করা ইউজার ডাটাবেজ নিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ প্রিভিলিজ পাবে।
০৪.
এবার Databases ট্যাবের PhpMyadmin অপশনে ক্লিক করুন এবং বাম দিকের সাইটবার থেকে ডাটাবেজটি সিলেক্ট করে Import বাটনে ক্লিক করুন। লোকাল সার্ভারে রাখা ডাটাবেজটিকে ইমপোর্ট করুন।
০৫.
লোকাল সার্ভারে রাখা ওয়েবসাইটের সব ফাইল ও ফোল্ডার ফাইল ম্যানেজারের Web Root (public_html/) ফোল্ডারের ভেতরে আপলোড করুন এবং configure.php ফাইলে ডাটাবেজের নাম এবং ইউজারনেম আপডেট করলে ওয়েবসাইটটি আপনার ডোমেইনে লাইভ হয়ে যাবে। এই configure.php ফাইলটিতে সাধারণত ডাটাবেজটি যুক্ত থাকে। আপনার সাইটটি যদি ওয়ার্ডপ্রেসে করা হয়ে থাকে, তাহলে wp-config.php ফাইলে ডাটাবেজের নাম এবং ইউজারনেম আপডেট করুন। যদি জুমলায় করা হয়ে থাকে, তাহলে configuration.php ফাইলে ডাটাবেজের নাম ও ইউজারনেমটি আপডেট করুন। মূল কথা হচ্ছে, আপনার সাইটের যে ফাইলটিতে ডাটাবেজটি লিঙ্ক করা আছে সেটিই আপডেট করুন।

এফটিপি তৈরি ও এফটিপি দিয়ে ফাইল আপলোড করা
FTP বা File Transfer Protocol হচ্ছে একটি থার্ড পার্টি সফটওয়্যার, যার মাধ্যমে আমরা ফাইলগুলো আমাদের সার্ভারে আপলোড করতে পারি। সাধারণত সিপ্যানেলের ফাইল আপলোড অপশন ব্যবহার করে ফাইলগুলো আপলোড করি, কিন্তু আমাদের সাইটের ফাইল সাইজ যখন খুব বড় হবে তখন এভাবে ফাইল আপলোড করতে অনেক সমস্যা হবে। সেক্ষেত্রে এফটিপি ব্যবহার করে অনেক বড় সাইজের ফাইলগুলো আপলোড করতে পারি।
এফটিপি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে সিপ্যানেলে একটি এফটিপি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। সিপ্যানেলে এফটিপি তৈরি করার জন্য নিচের ধাপগুলো সম্পন্ন করুন :
০১.
Files ট্যাবের FTP Accounts অপশনে ক্লিক করুন। Add FTP Account সেকশনের অধীনে Login Name, পাসওয়ার্ড এবং ডাইরেক্টরি দিয়ে Add FTP Account বাটনে ক্লিক করুন। সাধারণত যে লগইন নেম দেবেন সেই নামেই একটি ডাইরেক্টরি তৈরি হয়। যদি আপনার সার্ভারের রুটে এফটিপি অ্যাক্সেস দিতে চান, তবে public_html/-এর পর তৈরি হওয়া লগইন নেমটি ডিলিট করে দিন।
০২.
FTP Accounts সেকশনে আপনার তৈরি করা এফটিপি দেখতে পারবেন। এখান থেকে Configure FTP Client-এ ক্লিক করুন। এখানে আপনার এফটিপি ইউজারনেম, এফটিপি সার্ভারনেম, এফটিপি সার্ভার পোর্টের ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন।
০৩.
এবার যেকোনো একটি এফটিপি সফটওয়্যার (Filezilla, Core FTP, CuteFTP) আপনার পিসিতে ইনস্টল করে সফটওয়্যারটি চালু করুন। এফটিপিটি সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে ফাইলজিলা অনেক জনপ্রিয়। ফাইলজিলা চালু করার পর Hostname, Username, Password, Port-এর তথ্য দিয়ে সার্ভারে লগইন করুন।
০৪.
এখন আপনার সফটওয়্যারের ডান পাশে Remote site-এ আপনার ওয়েবসাইটের ফাইল দেখতে পাবেন এবং বামপাশে Local site-এ আপনার পিসির সব ফাইল দেখতে পাবেন। এবার পিসির ওয়েবসাইটের ফোল্ডার ব্রাউজ করে সব ফাইল সিলেক্ট করে ড্র্যাগ করে ডানপাশে ছেড়ে দিন বা সব ফাইল সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে আপলোডে ক্লিক করুন। তাহলেই আপনার লোকাল পিসির সব ফাইল আপনার সার্ভারে আপলোড হয়ে যাবে।
ওয়েবসাইটের ডোমেইন নামে ওয়েবমেইল তৈরি করা
যে ডোমেইনটি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কিনলেন, সেই ডোমেইনের নামে ই-মেইল তৈরি করতে হলে প্রথমেই সিপ্যানেলে লগইন করে Mail ট্যাবের Email Accounts অপশনে ক্লিক করার পর Email Accounts সেকশনে ই-মেইলটির নাম, পাসওয়ার্ড এবং Mailbox Quota (আপনি মেইলটির জন্য কতটুকু সার্ভার স্পেস ব্যবহার করতে চান) দিয়ে Create Account বাটনে ক্লিক করলে তৈরি হয়ে যাবে আপনার ই-মেইল।
এবার ই-মেইলটি ব্যবহার করতে চাইলে আপনার ওয়েবসাইটের নামের পর ওয়েবমেইল লিখে ব্রাউজ করুন www.mydomain.com/ webmail। এবার তৈরি করা ই-মেইল অ্যাড্রেস এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করুন।
আগামি পর্বে শেয়ার করব সিপ্যানেলের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- উইজার্ড চালু করা,ওয়েবমেইলের কিছু অ্যাডভান্সড ফিচা্‌র,সাবডোমেইন তৈরি করা ,ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়ে।
বিশেষ সংযোজনঃপরবর্তী পর্ব ( নতুন ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সার্ভার ব্যবস্থাপন শেষ পর্ব) পরতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ
নতুন ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সার্ভার ব্যবস্থাপনা(শেষ পর্ব)

পর্ব -১ :নতুন ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সার্ভার ব্যবস্থাপনা


এই টিউটরিয়ালটি মূলত নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যারা আউটসোর্সিং ও দেশীয় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজে আগ্রহী। আমাদের কাছ থেকে অনেক ওয়ের ডেভেলপার ডোমেইন হোস্টিং কেনার পর প্রায়ই জিজ্ঞাসা করেন-কিভাবে নতুন ডাটাবেজ তৈরি করব? কিভাবে আগে তৈরি করা সাইটটি সার্ভারে আপলোড করব? কিভাবে সাইটের নামে ই-মেইল খুলব? কিভাবে এফটিপি তৈরি করব? কিভাবে সাইট ব্যাকআপ নেব? তাই নবীন ওয়েব ডেভেলপারদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে এ লেখার উপস্থাপনা।কিন্তু সার্ভার ব্যবস্থাপনার আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোথায় আপনার সাইট হোস্ট করবেন?ভালো ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি খুঁজে বের করা খুবই জরুরি। যারা ভালো ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি খুঁজে বের করতে অসুবিধার মধ্যে আছেন তাদের জন্য আমার এই লেখা সহায়ক হবে" যেভাবে ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি খুঁজে বের করবেন "
ওয়েব হোস্টিংয়ে বিভিন্ন ধরনের সার্ভার ম্যানেজমেন্ট এবং কনফিগারেশন কন্ট্রোল প্যানেল আছে। যেমন-সিপ্যানেল, ডিরেক্ট অ্যাডমিন, পে¬ক্স ছাড়াও আরো অনেক। আবার সিপ্যানেলের মধ্যে অনেক ভিন্নতা রয়েছে। এই পর্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হওয়া জনপ্রিয় সার্ভার ম্যানেজমেন্ট অ্যাপি¬কেশন সিপ্যানেল (CPanel) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে এখানে সম্পূর্ণ প্যানেলের পরিচিতি তুলে না ধরে, বিভিন্ন পর্বে ভাগ করে আপনাদের কাছে সিপ্যানেলের বিভিন্ন ফিচারের ব্যবহার ও পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে।
সিপ্যানেলের বৈশিষ্ট্যগুলোর সাথে পরিচিত হতে হলে প্রথমেই আপনাকে সিপ্যানেলে কাজ করতে হবে। যারা এখন পর্যন্ত হোস্টিং সার্ভার কেনেননি, তারা নিচের অ্যাড্রেসটিতে ব্রাউজ করে সিপ্যানেলে লাইভ কাজ করার চর্চাটি করতে পারেন।
http://www.cpanel.net/products/cpanelwhm/try-demo.html
এই লিঙ্ক থেকে Domain Owner Panel নির্বাচন করুন এবং ‘cPanel 11 Demo’ বাটনে ক্লিক করুন। ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড হচ্ছে ‘x3demob’।
সিপ্যানেলে অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন অপশন রয়েছে। কয়েকটি ক্যাটাগরির গুরুত্বপূর্ণ অপশন সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন ওয়েব ডেভেলপারেরা সহজেই সার্ভারে তাদের ফাইলগুলো ম্যানেজ করতে পারেন।
সিপ্যানেলটি দুটি কলামে বিভক্ত। একটি হচ্ছে বামদিকের সাইডবার। আর অন্যটি সিপ্যানেলে মূল অংশ, যেখানে অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন অপশন রয়েছে। বামদিকে সাইডবারে যেসব বিষয় রয়েছে সেগুলো হলো-
Notices : এখানে সিপ্যানেলের নোটিস বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকলে তা জানা যায়।
Find : এটি সিপ্যানেলে বিভিন্ন ফিচার সহজে খুঁজে বের করার সার্চ অপশন। ধরা যাক, আপনি যদি এখানে Database লিখে সার্চ দেন তাহলে সিপ্যানেল মেইন এরিয়াতে শুধু ডাটাবেজের জন্য অপশনগুলো দেখতে পাবেন।
Frequently Accessed Areas : সিপ্যানেল মেইন অ্যারিয়ার যে অপশনগুলো বেশি ব্যবহার করেন, তার একটি লিস্ট দেখতে পাবেন এই ট্যাবে। এখান থেকে সহজেই সিপ্যানেলের অপশনগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
Stats : সিপ্যানেলের এই অংশটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে হোস্টিং সার্ভারের বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস সহজেই দেখতে পারবেন। এর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ফাংশন নিচে দেয়া হলো-
Main Domain : এখানে ওয়েবসাইটের ডোমেইন নামটি দেখতে পাবেন, যা এই হোস্টিং অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত। যেমন– yourdomain.com.
Home Directory : আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো সার্ভারের যে ফোল্ডারে জমা হবে, তার অ্যাড্রেস। যেমন- /home/yourdomain.
Disk Space Usage : কতটুকু হোস্টিং স্পেস কিনেছেন এবং কতটুকু ব্যবহার হয়েছে, তার পরিমাণ এখানে দেখতে পাবেন। যেমন– 28.49/500MB, যার অর্থ আপনি ৫০০এমবি হোস্টিং স্পেস কিনেছেন এবং এখন পর্যন্ত ২৮.৪৯এমবি ব্যবহার হয়েছে।
Monthly Bandwidth Transfer : এটি হচ্ছে আপনার মাসিক ডাটা ট্রান্সফার সীমা। যেমন- 300.00/10000MB, যার অর্থ হচ্ছে আপনি ১০০০০এমবি ব্যান্ডউইডথ কিনেছেন এবং এক মাসের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩০০.০০এমবি ব্যবহার হয়েছে।
Email Accounts : কতটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং কতটি ব্যবহার করেছেন, তার পরিমাণ এখানে দেখতে পারবেন।
Subdomains, Parked Domains, Addon Domains : অপনার হোস্টিং প্যাকেজে কতটি সাবডোমেইন, পার্ক ডোমেইন, অ্যাডঅন ডোমেইন রয়েছে এবং কতটি ব্যবহার করেছেন তার পরিমাণ এখানে দেখতে পারবেন।
FTP Accounts, SQL Databases : কতটি এফটিপি অ্যাকাউন্ট, ডাটাবেজ রয়েছে এবং কতটি ব্যবহার করেছেন, এর পরিমাণ এখানে দেখতে পারবেন।
MySQL Disk Space : সাইটটি যদি ডায়নামিক হয়, তবে এর একটি ডাটাবেজ থাকবে। এই ডাটাবেজের সাইজ আপনি এখানে দেখতে পারবেন।
PHP version, MySQL version : এটি আপনার হোস্টিং সার্ভারের অন্যতম এক বৈশিষ্ট্য। এখানে আপনার সার্ভারের পিএইচপি, মাইএসকিউএল ভার্সন দেখতে পারবেন। অনেক জনপ্রিয় স্ক্রিপ্টের (ওয়ার্ডস্পেস, জুমলা, পিএইচপি বিবি) সর্বশেষ ভার্সনগুলো পুরনো পিএইচপি সাপোর্ট করে না। যেমন- WordPress 2.9-এর ক্ষেত্রে ন্যূনতম হচ্ছে PHP 4.3 এবং MySQL 4.1.2। তাই সার্ভার কেনার আগে এই বিষয়টি ভালোভাবে জেনে নেবেন।
সিপ্যানেলের মূল অংশের পরিচিতি
সিপ্যানেলের ডানদিকের মূল অংশের অপশনগুলো ব্যবহার করেই ওয়েবসাইট ম্যানেজ করতে হয়।
Files : আপনি যখন পিসির লোকাল সার্ভারে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, তখন এর ফাইলগুলো লাইভ সার্ভারে রাখতে হবে, যাতে সবাই আপনার সাইটটি দেখতে পারে। কোনো কোম্পানির কাছ থেকে ডোমেইন হোস্টিং কেনার পর হোস্টিং প্যানেলের ফাইলস ট্যাবের ফাইল ম্যানেজার ফোল্ডারের ভেতরে আপনার ওয়েবসাইটের সব ফাইল রাখবেন। ফাইল ম্যানেজার ফোল্ডারে ক্লিক করলে একটি পপআপ বক্স আসবে। এখান থেকে ওয়েব রুট রেডিও বাটনে ক্লিক করে আপনার ওয়েবের রুট ফোল্ডারে অ্যাক্সেস করুন।
এখানেই আপনার ওয়েবসাইটের সব ফাইল আপলোড করবেন। আপনার সাইটটি যদি স্ট্র্যাটিক হয়, তবে শুধু ফাইল এবং ইমেজগুলো আপলোড করে রাখলেই হবে। আর যদি সাইটটি ডায়নামিক হয় অর্থাৎ ডাটাবেজনির্ভর সাইট হয়, তবে আপনাকে ডাটাবেজ ট্যাবে একটি ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে এবং আপনার সাইটের ফাইলে ডাটাবেজটির লিঙ্ক করে দিতে হবে।
আপনার ওয়েব ফাইলের সাইজ যদি বড় হয়, তাহলে এফটিপি ব্যবহার করে ফাইল আপলোড করতে হবে।
ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে এই লেখাটি  পড়তে পারেন- বিশেষ করে নতুনদের জন্য
আগামি পর্বে শেয়ার করব লোকাল সার্ভারে তৈরি করা ডায়নামিক/ডাটাবেজনির্ভর ওয়েবসাইট সিপ্যানেলে আপলোড করা, এফটিপি তৈরি করা, ওয়েবমেইল তৈরি করা ইত্যাদি ।
বিশেষ সংযোজনঃপরবর্তী পর্ব ( নতুন ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সার্ভার ব্যবস্থাপনা পর্ব – ০২) পরতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ
নতুন ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সার্ভার ব্যবস্থাপনা(পর্ব – ০২)

Hack Broadband-অবিশ্বাস্য ভাবে বাড়িয়ে নিন আপনার Broadband এর স্পীড


সবাইকে সুবেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি-

আজকের বিষয়-Broadband Hack
অনেকে হ্যাকিং জিনিসটাকে ক্রাইম মনে করেন, আসলে হ্যাকিং কোন ক্রাইম না নিজেকে হ্যাকিং থেকে বাঁচানোর জন্য বা শিখার জন্য আমাদের হ্যাকিং সমন্ধে জানা অনেক প্রয়োজন।
আজকের টিউন টি সুধু জানার উদ্দেশে সিখবেন, কারো ক্ষতি করার উদ্দেশে নয়। কারন আপনারা যদি এই পদ্দতি অবলম্বন করে Broadband Hack করে স্পীড বাড়িয়ে নেন তাহলে, এটা আপনাদের Broadband service Provider এর অনেক ক্ষতি হবে। ধরুন আপনি Broadband Hack করে ৩০ মিনিট এ ১ জিবি ডাটা ডাউনলোড করে ফেলেন এতে সার্ভিস প্রভাইডার এর কমপক্ষে ৫০০ টাকার ক্ষতি হবে।
তো আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক-
প্রথমে আপনাদের যা করতে হবে টা হচ্ছে Advance IP Scanner সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করতে হবে।( ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া হল), তারপর নিচের ছবি গুলু দেখে অনুসরণ করুন।
Advance IP scanner Download link-
১) সফটওয়্যার টি ওপেন করুন, তারপর নিচের ছবির মত IP ক্লিক করে Scan চাপুন।
২) নিচের দেখানো ছবির মত যে কোন একটা পিসি থেকে রাইট বাটন ক্লিক করে Copy>Mac address টি কপি করে নিন।
৩) তারপর আপনার LAN বা Local Area Network এ গিয়ে নিচের ছবির মতো Internet Protocol version 4 বেছে নিন। Configure বাটন এ ক্লিক করুন।
৪)তারপর Advance>Network address> Value নির্বাচন করে ওপরের কপি করা Mac address টি পেস্ট করুন।
৫) OK বাটন চেপে বের হন তারপর আবার advance IP scanner এ গিয়ে যে পিসি টির ম্যাক এড্রেস কপি করেছেন, আবার একই PC থেকে IP এড্রেস টি খাতায় লিখে নিন।
৬) তারপর Local Area Network এ গিয়া Internet Protocol version 4 এর Properties এ যান, তারপর খাতায় লেখা IP এড্রেস টি আপনার IP এর জায়গায় বসিয়ে দিন।( IP Change করার পূর্বে নিজের IP টি খাতায় লিখে নিন কারন আবার পূর্বের, মানে আপনার পিসি তে আসতে এটি ব্যাবহার করতে হবে)

যারা বুঝতে পারেন নাই তারা ভিডিও Tutorial Download করতে পারেন। ভিডিও Tutorial Download করুন এখান থেকে।
***********************************************************************
আগের অবস্থায় ফিরে যেতে যা করতে হবে-
১) পূর্বের মতো  Local Area Network এ গিয়া Internet Protocol version 4 সিলেক্ট করুন তারপর Configure> advance> network address> Not present দিয়ে ওকে করুন।
২) Local Area Network এ গিয়া Internet Protocol version 4 এর Properties এ গিয়ে আপনার নিজের IP টি প্রবেশ করে Close করে বেরিয়ে আসুন।
***********************************************************************
আপনার জন্য কিছু টিপস-
Advance IP scanner থেকে ম্যাক এড্রেস কোনটি সিলেক্ট করবেন? কিভাবে বুঝবেন, এক্ষেত্রে একটি কাজ করতে পারেন, কয়েকটা পিসি চেক করে দেখুন। যেটিতে FTP Connect রয়েছে সেগুলু সিলেক্ট করবেন। তাহলে অনেক স্পীড পাওয়া যাবে।
আপনাকে সতর্ক করা হচ্ছে অনেক Service Provider তাদের লাইন চেক করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি ধরা খেতে পারেন। তাই কাজটি সম্পূর্ণ নিজ দাইত্তে করবেন। ধরা খেলে আমাকে দোষারোপ করতে পারবেন না। :p :p :p
এখানেও আপনাকে একটা টিপস দিতে পারি, আপনি যাতে ধরা না খান তার জন্য আপনার পিসির নাম পরিবর্তন করে, Untitled বা এমন কিছু দিয়ে রাখুন যা দেখে বুঝতে না পারে। এক্ষেত্রে Service Provider অনেক গুলু পিসির মাঝে আপনার পিসিটি বের করতে পারবে না।